Search This Blog

Sunday, February 3, 2019

মানুষ আমরা

            “আল্লাহ! আমাদের তৌফিক দিও”

      আমরা মানুষ, ভুলে যাই অতি দ্রুত। অপ্রয়োজনীয় আর খারাপ কাজে এমন ভাবে অভ্যস্ত হয়ে পরি, সেটাকে বুঝে-শুনে ছাড়তে চাইলেও অনেক কঠিন মোকাবেলার সম্মুখিন হতে হয় আমাদের। আমরা ভুল করি ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় আবার ক্ষমা চাই, আল্লাহ ক্ষমা করেন। এভাবে একদিন আসবে যেদিন হয়ত ভুলের মাঝে থাকব কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার সময় আর পাবোনা। আমাদের সাবধান হওয়া উচিত মৃত্যুর আগেই তওবা করার ব্যাপারে, তাওবার ওপর অটল থেকে কবরের দিকে পা বাড়ানোর ব্যাপারে।

Thursday, January 31, 2019

কী লিখব?

             “ইচ্ছে যত লিখব তত”

    যখন প্রথম লেখা শুরু করা হয় তখন সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খায় তা হলো- কী লিখব? তারপর, আমার লেখার মান তো অত্যন্ত খারাপ আর কতো শত বানান যে ভুল।
   আচ্ছা, আপনার লেখার মান যদি খারাপই না হবে তবে আপনার লেখার মান ভালোর দিকে যাচ্ছে তা বুঝবেন কিভাবে? আপনি লেখা শুরু করা মাত্রই তো আর লেখক হয়ে যাননি। আর বানান ভুল ছাড়া মানুষ আছে বলে আমার মনে হয় না। লিখতে গিয়ে জানা থাকা সত্বেও অনেক কিছু মিসটেক হয়ে যায়, আর আপনি আছেন বানান ভুল নিয়ে । লেখা একটা শিল্প যা চর্চার মাধ্যমে অর্জন করে নিতে হয়, শুধু জানা থাকলেই হয় না। আমারও অনেক বানানে সমস্যা আছে কেননা আমি নূতন, তাই বলে কি আর লেখালেখি করবো না? আবু তাহের মিসবাহ সাহেব তাঁর এসো কলম মেরামত করি বইয়ে লিখেছেন, এতদিন লেখালেখি করে এসে এই বয়সে তিনি তাঁর একটা বানান ভুল ধরতে পেলেন যা তিনি আগে জানতেন না, আর তাই সেই বানানে ভুল করতেন। সেটা হলো ‘গড্ডলিকা’ তিনি লিখতেন ‘গড্ডালিকা’। আমি এটা পড়ার পর যত লেখকের লেখায় এই শব্দটা পড়েছি তাঁদের অনেকের লেখায় এই বানানটা ভুল পেয়েছি।
   এবার ভাবছেন কী লিখবেন?
   সমস্যা নেই, এটার সমাধানটা আরও সহজ। আপনি লিখতে বসে যাবেন সকালে যখন কোনো কাজ শুরু করেন নি। এবার সমস্ত দিন কী কী কাজ করবেন তা লিখুন, প্রতিদিন একই কাজ করার থাকলেও সমস্যা নেই, যা প্রথম দিন লিখেছেন সেটাকেই আবার নূতন আঙ্গিকে লেখার চেষ্টা করুন। বাক্যগুলো নূতন শব্দ দিয়ে বা শব্দগুলোকে এদিক ওদিক করে লিখুন। এবার লিখুন রাত্রে যখন আপনার সব কাজ শেষ হয়েছে। কাজগুলো কিভাবে কিভাবে শেষ করলেন তা লিখুন, আরো লিখুন মনের গোপন কথা যা অন্যকে বলতে ভয় পাচ্ছেন অথবা সঙ্কোচ বোধ করছেন।
   মাত্র দু’চারদিন আগে, যখন কিছু লিখতাম শুধু নিজের কথা লিখতাম, নিজেকে নিয়ে লিখতাম গোপন ডায়েরিতে। আমি জানি লেখকদের যাত্রা শুরু হয় এভাবেই, আমি লেখকদের সঙ্গানুসারে লেখক না হলেও, নিয়মিত লেখা চর্চার কারণে লেখক, কেননা আমি প্রতিদিন লিখি।
   যখন নতুন লেখা শুরু করা হয় তখন গোপন ডায়েরি থাকা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা শুধু লেখকরাই অনুধাবন করতে পারে। যখন প্রথম লেখা শুরু করেছিলাম, কিছুদিন যেতে না যেতেই একটা করে নতুন ডায়েরির প্রয়োজন অনুভব করতাম। এটা এ কারণে নয় যে- অনেক বেশি লিখতাম আর দ্রুত ডায়েরি ভরে যেতো।
   বরং এর কারণ ছিলো -আমি প্রতিটা ডায়েরিকে নিদ্রিষ্ট কোনো প্রসঙ্গের জন্য নির্ধারণ করতাম, আর তখন কোনো ব্যাপারে দু’এক পৃষ্ঠা লিখে অন্য প্রসঙ্গের কথা মনে হতো অথবা যে বিষয়ে লেখা শুরু করেছিলাম তা আর শেষ করতে পারতাম না তখন আরো ডায়েরি কেনার চিন্তা করতাম।
   কোনো লেখা শুরু করেছি কিন্তু দু’একদিন যাবার পর যখন সেটা আর মনে ধরছিলনা, লেখার মান খারাপ মনে হচ্ছিল তখন সেই পৃষ্ঠাকে ছিড়ে ফেলতাম। এভাবে যে কত পৃষ্ঠা ছিঁড়ে কুচি কুচি করেছি তার হিসেব আমার কাছে নেই।
   তাই এমন ভাববেন না যে- আমার লেখা ভালো নয়, লেখা আসে না, কি লিখব জানি না, বানান ভুল হয়, লেখাটাকে ছন্দে মেলাতে পারি না। এগুলো মনটাকে হীন করে দেবার জন্য যথেষ্ট।
   বরং আপনি যে লিখতে পারেন না, আপনার ডায়েরিতে সেটাই লিখুন। লিখুন - ‘আমি লিখতে চাই, কিন্তু লিখতে পারি না, মাথা ভরা কথা সেগুলোকে কলমের মাধ্যমে খাতায় আনলেই লেখা হয়ে গেলো কিন্তু সেটাতেও আমি অক্ষম। আমি জানি না কিভাবে সক্ষম হওয়া যায়।’ আরো যা মন চায় তাই লিখবেন দেখবেন আপনার লেখা হয়ে গেছে। আর বিশ্বাসই করতে পারবেন না আপনি এতো ভালো লিখতে পারেন।
    আমার লেখার পর ভালো না লাগায় পৃষ্ঠা ছেঁড়ার মতো কাজটা আপনিও করতে পারেন। এমন গোপন কথা লিখে ফেলেছেন যা অন্যকে দেখানো যাবে না একদম তাহলে সেটাকে ছাই বানিয়ে দিন আগুনে পুড়ে। আবার লিখুন, ভালো হয়নি আবার পুড়ে ফেলুন। কাঁকড়ার ঠ্যাং বগের ঠ্যাং লিখুন, ভালো করে লিখতে হবে না, লেখার পর ভালো লাগলে নূতন করে কোথাও সেটা কপি করুন।
   আর হ্যা লেখা কিন্তু একটা সৃজনশীলতা তাই অন্যের লেখা থেকে কপি করবেন না, তাহলে কিন্তু আপনার মেধা বিকাশের সম্ভাবনাও থাকবে না।

Wednesday, January 30, 2019

উপার্জন

              “পরিস্থিতিই অভিজ্ঞতার স্রষ্টা”

         আমরা দুনিয়াতে বাঁচার জন্য কিছু সময় পাই, কিছু দিন অথবা কিছু বছর। দিন ও বছর যদিও দু’ই সময়ের অন্তর্ভূক্ত তবুও অগভীর দৃষ্টিতে কিছু পার্থক্য দেখা যায়।
এই ছোট্ট জীবনে আমাদের বেচেঁ থাকতে হয় অনেক রকমের অভিজ্ঞতা সংগ্রহের মাধ্যমে। কোনো মানুষ বেচেঁ থাকবে অথচ জীবনে অভিজ্ঞতা অর্জন হবে না এটা হতেও পারে না। আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করি বিভিন্ন রকম পরিস্থিতির শিকার হবার মাধ্যমে।
   আচ্ছা, আপনিই বলেন তো- কোনো কিছু অর্জন বা উপার্জন হয়েছে আপনার অথচ আপনি সেটার পেছনে কোনো কাজ করেন নি, এমনটা কি সম্ভব?
উহু, এটা সম্ভব নয়।
   হ্যা কিছু ব্যাপারে এমন মনে হতে পারে যে- আপনি কোনো কিছু করেন নি অথচ কিছু একটা পেয়ে গেছেন (এমনটা মনে হতে পারে কিন্তু এটা বাস্তব বিরোধি, কাজটা অস্পষ্ট থাকায় এমন মনে হয়)। কিন্তু উপার্জন বা অর্জন সম্ভব নয়। কেননা অর্জন এর অর্থ হলো- কাজ করার মাধ্যমে কিছু পাওয়া (এখানে কাজটা স্পষ্ট)।
   আমাদের জীবনে চলতে অনেক রকমের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় কিন্তু আমরা কেউই পরিস্থিতির শিকার হতে চাই না। আমাদের পরিস্থিতিকে অনেক কঠিন লাগে । কিন্তু পরিস্থিতি ছাড়া কি আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, আর অভিজ্ঞতা ছাড়া কি জীবন আছে? আমরা চাইলেই কি আর না চাইলেই কি? এটা জীবনঘনিষ্ঠ ব্যাপার।

Monday, January 28, 2019

নতুন ব্লগে প্রথম পোস্ট



    “ ব্লগ ও লেখালেখি”

বেশ আগে থেকে লেখি, আপন মনে গোপন ডায়েরিতে, এক সময় আতিকুল্লাহ সাহেবের (আমার প্রাণপ্রিয় ওস্তাজ) লেখালেখি দেখে সাহিত্য সাধনার ইচ্ছে জেগেছে। ব্লগে লেখার ব্যাপারে  ইচ্ছে ছিল অনেক আগে  থেকেই কিন্তু কোনো ব্যাপারে জ্ঞান কম থাকলে যা হয় আরকি!
এ ব্যাপারে জ্ঞানশূণ্যতায় ভুগছিলাম আর ভাবছিলাম- ব্লগে লেখালেখি? ওরে বাবা, ওটা আবার  কী না কী! ওসব কি আমার দ্বারা সম্ভব?
এখন একটু জানা শোনা হওয়ায় সহজ মনে হচ্ছে, তাই কোনো দিকে না তাকিয়ে শুরু করে দিলাম। এখন বাকিটা আল্লাহর হাতে। তিনি দিলে আমি হাত পেতে আছি, আর না দিলে আমি কিন্তু চাওয়া বাদ দেইনি।